আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দিতে উঠেছিলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। তবে তার বক্তব্য শুরু হতেই অনেক দেশের প্রতিনিধি প্রতিবাদস্বরূপ অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
গাজায় গণহত্যা, দমননীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্ব কূটনীতিকদের এই ওয়াকআউট বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে। হামাসের মতে, এ ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে ইসরাইল কতটা একঘরে হয়ে পড়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু এক বিবৃতিতে বলেন, “জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট করা বিশ্ব থেকে ইসরাইলের বিচ্ছিন্নতারই একটি প্রকাশ।”
হামাস নেতা ইজ্জতের দাবি, নেতানিয়াহু শান্তির নামে বারবার প্রতারণা করছে। বাস্তবে গাজায় প্রতিদিনই ইসরাইলি সেনারা নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করছে। এ অবস্থায় তার অবস্থানই যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রধান অন্তরায়।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন গাজার সাধারণ মানুষ। যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইঙ্গিত না পাওয়ায় তারা গভীরভাবে মুষড়ে পড়েছেন। গাজার বহু পরিবার যুদ্ধবিরতির আশায় দিন গুনলেও জাতিসংঘের মঞ্চে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে শান্তির কোনো বার্তা না থাকায় তাদের আশা ভঙ্গ হয়েছে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদী সুরে বলেছেন, গাজা যুদ্ধ নিয়ে সমঝোতা শিগগিরই বাস্তবে রূপ নেবে। তার ভাষায়, “গাজা যুদ্ধ এখন শান্তির দ্বারপ্রান্তে।” তিনি দাবি করেছেন, শান্তি চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অগ্রগতি ইতোমধ্যে হয়েছে এবং খুব দ্রুতই তা বাস্তবায়িত হবে।
একদিকে হামাস ইসরাইলের কূটনৈতিক একঘরে হওয়ার চিত্র সামনে আনছে, অন্যদিকে মার্কিন প্রশাসন শান্তির দ্বারপ্রান্তের কথা বলছে। তবে ইসরাইলি নেতৃত্বের কঠোর অবস্থানকে কেন্দ্র করে গাজা প্রশ্নে সমীকরণ আরও জটিল হয়ে উঠছে। জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণকে কেন্দ্র করে বিশ্ব যে বিভক্ত, তা স্পষ্ট হয়েছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা মনে করছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরাইলকে ক্রমে কোণঠাসা করাই তাদের বড় রাজনৈতিক সাফল্য। তবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবে কবে আসবে, গাজার মানুষ কবে শান্তি পাবে—এ প্রশ্ন এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
Your Comment